সম্ভাবনাময় পর্যটন- ১ম পর্ব

সম্ভাবনাময় পর্যটন-  ১ম পর্ব

পর্যটন শিল্প উন্নয়নে দেশী পর্যটকদের গুরুত্ব বেশি
   
মুহা: সাইফুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক, বরিশাল.লাইভ

সবুজ শ্যামলীমায় ঘেরা অপরুপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাক্ষেত্র বাংলাদেশ। পর্যটকদের উপহার দেবার মতো প্রচুর আকর্ষনীয় বিষয়ের মধ্যে রয়েছে সমুদ্র সৈকত হ্রদ, পাহাড়, বন্যাপ্রানী, আবহামান গ্রামীণ জীবন, উপজাতীয় জীবনধারা, প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শণ, ঐতিহাসিক কীর্তি, লোককাহিনী, হস্তশিল্প, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধর্মীয় কৃষ্টি, কবি গান, বাউল গান, যাত্রা গান, পল্লীগীতি ভাওয়াইয়া, জারি গান, মুর্শিদী, মারফতি, লালন গীতির উল্লেখযোগ্য। এদেশের শিল্প সাহিত্য সঙ্গীত চিত্রকলা পর্যটকদের আনন্দিত ও আলোড়িত করছে।  গ্রামীণ জীবনের বৈচিত্র নদীমাতৃক সমাজ ব্যবস্থা এবং আধ্যাতিœকতা ও কম আকর্ষন নয়। দিন দিন এসব পর্যটন সম্পদের চাহিদা বেড়েই চলেছে। পর্যটন হলো ভ্রমণ এবং ভ্রমনকারীর মধ্যে সর্ম্পকের একটি সমন্বিত রুপ। এদেশের সবুজ শ্যামল ¯িœগ্ধ প্রকৃতি আর মানুষের বন্ধুস্বলভ আচরণ ও আতিথেয়তা যুগযুগ ধরে পর্যটকদেরকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। পর্যটন শিল্প উন্নয়নে দেশী পর্যটকদের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি।
 তৃণমূল সাংবাদিকতার স্খীকৃতি স্বরুপ একাধিক জাতীয় পুরুস্কার প্রাপ্ত মুহা: সাইফুল ইসলাম লেখা ‘সম্ভাবনাময় পর্যটন’ শিরোনামে ধারাবাহিক প্রতিবেদনে ও ১ম পর্ব হচ্ছে, পর্যটন শিল্প উন্নয়নে দেশী পর্যটকদের গুরুত্ব বেশি।
পর্যটন মানে সেবা, আতিথেয়তা, সেতু বন্ধন, আনন্দ, বিনোদন, মৈত্রী, সুন্দর ভালবাসা, বন্ধুত্ব বা নতুন কোন দিগন্ত, নতুন কিছু জানা ইত্যাকার  শব্দগুলো হৃদয়ে ভেসে উঠে। পর্যটনের যথার্থ পর্যটন মানে আনন্দ ও মৈত্রী। পর্যটন সংস্থার মতে, অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের তাগিদে ব্যবসায়িক কাজে এক স্থান হতে অন্য স্থানে অস্থায়ী ভ্রমন আনন্দ ও বিনোদনের পর্যটনের অর্ন্তভুক্ত। পর্যটন হলো ভ্রমণ এবং ভ্রমনকারীর মধ্যে সর্ম্পকের একটি সমন্বিত রুপ। পর্যটন একটি শিল্প। পর্যটন শিল্পে উন্নয়নের মাধ্যমে পৃথিবীর বহু দেশ বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে। তাই পর্যটন আজকের বিশ্বে একক বৃহত্তম শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। পর্যটন একটি জাতির সংস্কৃতি। ঐতিহ্যের ধারক বাহক। যে কোন দেশের দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে পর্যটন শিল্প গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করতে পারে।

পর্যটন শিল্প হচ্ছে একটি সেবামূলক শিল্প। সারা পৃথিবীব্যাপী এই শিল্পের প্রসার লক্ষণীয়। বিশ্বব্যাপী পর্যটকদের আকর্ষন করার জন্য প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে দেশে দেশে পর্যটন শিল্প। এই শিল্প থেকে অর্জন করছে বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা। কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ফ্্রান্স, সিঙ্গাপুর, চীন প্রভৃতি দেশ উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ অপরদিকে এইসব দেশ আবার পর্যটন শিল্পে সবচেয়ে অগ্রসর। কিন্তু এমন কিছু দেশ রয়েছে যে দেশগুলো এখন পর্যন্ত উন্নত দেশের সমকক্ষ নয়। তবে পর্যটন শিল্পের ক্ষেত্রে এরা বেশ উন্নত যেমন নেপাল, সাইপ্রাস, জাম্বিয়া, মালদ্বীপ, কেনিয়া ইত্যাদি দেশের নাম উল্লেখযোগ্য।

বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান হচ্ছে পর্যটন শিল্প। কোন দেশে পর্যটক আকর্ষন করতে হলে সে দেশে সর্বােেগ্র ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নসহ পর্যটন সম্পৃক্ত সকল সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। এক্ষেত্রে বাসস্থান খাদ্য যাতায়াত বিনোদন ও নিরাপত্তার মূল বিষয়। পর্যটন শিল্পের সাথে এগুলো ঘনিষ্ট ভাবে জড়িত। দেশের পর্যটন শিল্প উন্নয়নের পর্যকদের ভুমিকাই মুখ্য। পর্যটক বৃদ্ধির সাথে সাথে এসব সেবা বিক্রি হবে। এবং বিভিন্ন খাতে আয় বৃদ্ধি পাবে। ফলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে। পর্যটন শিল্প উন্নয়নে দেশী পর্যটকদের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি।

দেশীয় পর্যটন উন্নয়নের জন্য পর্যটকদের ভ্রমনের উৎসাহিত করা। সুষ্ঠু প্রচারের ব্যবস্থা করা এবং বিভিন্ন গঠনমূলক পদক্ষেপ গ্রহনের মাধ্যমে মানুষের মাঝে পর্যটন সম্পকে সচেতনতা বৃদ্ধি একান্ত প্রয়োজন। অপরদিকে বিদেশী পর্যটক আকৃষ্ট করার জন্য বিদেশ আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে ইলেকট্রনিক  মিডিয়া বাংলাদেশের অপরুপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সংস্কৃতি উপজাতীয় অ-উপজাতীয় নিয়মিত ভাবে তুলে ধরা যেতে পারে যাতে করে বিদেশীরা এসব দেখে আগ্রহী বাংলাদেশ ভ্রমন করে।

প্রকৃতির সৌন্দর্যের লীলাভুমি বাংলাদেশ। এদের ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বাংলার পুরাকীর্তি, সংস্কৃতি এবং বাঙালি জাতির ঐতিহ্য। যা অতি সহজে একজন পর্যটককে এদেশ ভ্রমণে উৎসাহিত করবে। বিজ্ঞানের যুগে আধুনিকতার স্পর্শে মানুষ আজ হারাচ্ছে তার মূল বৈশিষ্ট্যকে। আধুনিকতার স্্েরাতে লুপ্ত হচ্ছে প্রকৃতির অকৃপণ দান এবং সৃষ্টি হচ্ছে কৃত্রিমতা। সভ্যতার স্পর্শে মানুষ মাঝে মাঝে হাফিয়ে উঠছে কৃত্রিমতার জালে তাই অজান্তেই কোন সময় খুজে বেড়াচ্ছে সেই হারিয়ে যাওয়া প্রকৃতিকে। বাংলাদেশ প্রকৃতির দেশ। প্রকৃতির হাতছানি সর্বদা। পর্যটকদের এদেশে ভ্রমণে আকর্ষন করে। তাই তো এদেশে র প্রকৃতি আজো মাতৃ¯েœহের মতোই খাটি। চলবে